মহানবী (সা:) এর চল্লিশটি হাদিস

১) তোমরা অনুমান বা সন্দেহ পোষন হতে সবধান থাক। কেননা অনুমান সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

৩) অহংকার, প্রতারণা ও ঋণমুক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা বেহেশতবাসী হবার একটি শর্ত।
৪) বিশ্বস্ত সত্যবাদী মুসলমান ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহীদগণের সঙ্গী হবে।
৫) তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ে অধিক শপথ করা হতে সাবধান থাকবে। কেননা এতে লাভ হলেও পরে তা বিনাশ ডেকে আনে।
৬) ঐ নারী ও পুরুষ অভিশপ্ত যে পুরুষ নারীর এবং যে নারী পুরুষের বেশ-ভুষা ধারণ করে।
৭) দীর্ঘ দিন অনুপস্থিতির পর তোমাদের কেউ যেন রাতের অন্ধকাওে স্বীয় পরিবার পরিজনদেও কাছে হাজির না হয়।
৮) তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ ব্যতীত মৃত্যুবরণ না করে।
৯) লোভ আলেমদের অন্তর থেকে এলেমকে বের করে দেয়।
১০) তোমরা কবরসমূহের জেয়ারত হরবে, কেননা তা মৃত্যুকে স্বরণ করিয়ে দেয়।
১১) দাতা ব্যক্তি আল্লাহ, বেহেশতের ও মানুষের নিকটে অথচ দোজখ হতে দূরে।
১২) কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ হতেও দূরত্বে, বেহেস্ত হতেও দূরত্বে, অথচ দোজখের নিকটে।
১৩) আজান একামতের মাঝখানে দোয়া ফেরত দেয়া হয় না।
১৪) প্রত্যেক জিনিসেরই একটা মাজন রয়েছে, আর অন্তরের মাজন হলো আল্লাহর জিকির।
১৫) আনন্দ তার জন্য যার আমলনামায় ইস্তেগাফার বেশী বেশী পাওয়া যায়।
১৬) প্রতারক, কৃপণ এবং যে ব্যক্তি দান করে খোটা দেয়, সে বেহেশত্ প্রবেশ করবে না।
১৭) প্রত্যেক ভাল কাজই একেকটি দান।
১৮) আল্লাহর নিকট দুনিয়ার স্থানসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় মসজিদসমূহ এবং সবচেয়ে ঘৃণ্য হলো বাজারসমূহ।
১৯) অবস্থাপন্ন ব্যক্তির জন্য ও শক্তিমান পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির জন্য জাকাত লওয়া হালাল নয়।
২০) প্রত্যেক জিনিসেরই জাকাত রয়েছে, আর শরীরের জাকাত হল রোজা।
২১) সকল কাজের শ্রেষ্ঠ কাজ আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসা আর আল্লাহর ওয়াস্তেই শত্রুতা করা।
২২) রসূলুল্লাহ (সঃ) নিষেধ করেছেন কবরে চুনকাম করতে, কবরের উপর ঘর তুলতে এবং তার উপর বসতে।
২৩) মজলুমের বদ দোয়া থেকে বেঁচে থাক, কেননা মজলুমের বদ দোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন আড়াল নেই।
২৪) প্রত্যেক আদম সন্তানই অপরাধী আর তন্মধ্যে উত্তম তারাই যারা তওবা করে।
২৫) আল্লাহ আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি উপকারী, জ্ঞান, কবুল হওয়ার মত আমল ও হালাল রিজিক।
২৬) সংরক্ষিত উত্তম সম্পদ হলো নেককার স্ত্রী।
২৭) তিনটি দোয়া কবুল হয় তাতে সন্দেহ নেই। পিতার দোয়া, মুসাফিরের দোয়া ও মজলুমের দোয়া।
২৮) মানুষের মধ্য থেকে সবচেয়ে জঘন্য চোর সে যে তার নামাজের অংশ চুরি করে, নামাজের রুকু সেজদাপূর্ণ করে না।
২৯) বান্দা যতক্ষণ নামাজে থাকে ততক্ষণ নেকী তার মাথার উপর ঝরতে থাকে।
৩০) সব থেকে উত্তম কাজ হল নামাজ তার সময় মত পড়া।
৩১) যে ব্যক্তি নামাজের কথা ভুলে যায় সে তা পড়বে যখনই স্মরণ হবে।
৩২) আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় কাজ ঠিক সময়ে নামাজ পড়া, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।
৩৩) যার আমল তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশ তাকে পিছিয়ে দিতে পারে না।
৩৪) কিয়ামতে আল্লাহর নিকট মযাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে সে, যে নিজের এলেম দ্বারা উপকৃত হবে পারে নি।
৩৫) কৃপণতা ও দুর্ব্যবহার-এ দু’টি স্বভাব কোন মুমিনের মধ্যে একত্রিত হতে পাওে না।
৩৬) যখন তোমার সত্কাজ তোমাকে আনন্দ দিবে এবং অসত কাজ তোমাকে পীড়া দিবে, তখন তুমিই প্রকৃত মোমেন।
৩৭) যে ব্যাক্তি কোরআনের হারামকে হালাল মনে করেছে সে কোরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেনি।
৩৮) তোমাদের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ যে কোরআন শিক্ষা করে ও শিক্ষা দেয়।
৩৯) আমার উম্মতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি তারাই যারা কোরআনের বাহক হবে এবং রাত্রি জাগরনকারী।
৪০) এই কিতাব (কোরআন) দ্বারা আল্লাহ তালা এক জাতিকে উন্নত এবং অপর জাতীকে অবনত করেন।
২) যে লোক মানুষের প্রতি দয়া অনুগ্রহ বোধ করে না, তার প্রতি আল্লাহ পাকও দয়া রহম করেন না।

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

Previous Post Next Post

Native Banner

Popanda Ads